ঢাকা,শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা সংগ্রহ করছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্র“প আল এ্যাকিন

coxsbazarএইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সাধিকার প্রতিষ্টায় সশস্ত্র লড়াই করার নামে গঠিত আলোচিত বিদ্রোহী সংগঠন ‘আল এ্যাকিন’ বিপুল অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহ করছে। ওসব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের কাজে ছদ্মবেশে সক্রিয় রয়েছে বাংলাদেশে নিয়োজিত কতিপয় রোহিঙ্গা জঙ্গী। এ অবৈধ-বেআইনী কাজে কক্সবাজারে ঘাপটি মেরে থাকা মৌলভী শফিক নামে এক জঙ্গীর একাউন্টের মাধ্যমে ৬৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা এ বিশাল অঙ্কের টাকা লেনদেন বিষয়ে খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা। ইসলামী ব্যাংক সহ একাধিক ব্যাংকে এক রোহিঙ্গা জঙ্গীর একাউন্ট থেকে এ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে প্রশাসন তথ্য পেয়েছে। বিদেশ থেকে মোটা অঙ্কের এ টাকা জঙ্গীপনায় ব্যবহারের জন্য এসেছে বলে ধারণা করেছেন সচেতন মহল। সম্প্রতি পাহাড়ের গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া আনসার ক্যাম্প থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র এবং মঙ্গলবার আটক দুই জঙ্গীর কাছ থেকে জব্দকৃত ৭৮টি পাইপ বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদি ওই সন্ত্রাসী সংগঠন আল এ্যাকিনের জন্য জোগাড় করা হচ্ছিল বলে সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আরএসও, আরএনও, এআরআইএফ সহ কয়েকটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন থেকে বাছাই করে অস্ত্র চালনায় দক্ষ ও বিদেশে ট্রেনিং প্রাপ্ত কিছু রোহিঙ্গাকে নিয়ে ২০১২সালে মিয়ানমারে গঠিত হয় আরাকান বিদ্রোহী সংগঠন ‘আল এ্যাকিন।’ আরাকান অভ্যন্তরে বিভিন্ন পাহাড়ে এদের অবস্থান। অন্তর্জাতিক জঙ্গী সংস্থার সঙ্গে রয়েছে আল এ্যাকিনের যোগাযোগ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধকল্পে আল এ্যাকিনের সশস্ত্র গেরিলা ট্রেনিং আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংস্থার সমর্থন আদায় করতে পেরেছে বলে এদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চলছে তারা। সম্প্রতি মিয়ানমারে মংডু কাইয়ারবিলে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুলিশের (বিজিপি) ৩টি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা, ৯ বিজিপি সদস্যকে হত্যা এবং বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট ঘটনার পর দায় স্বীকার করে আল এ্যাকিন সংগঠনের প্রধান আবু আম্মর জুনুনী ফেসবুকে একাধিক ভিডিও বার্তা পাঠান। সশস্ত্র পাহারারত অবস্থায় ইতোপুর্বে পোস্ট করা ওসব ভিডিও বার্তায় রোহিঙ্গাগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য তাদের আহবানে রোহিঙ্গা যুবকদের সাড়া দেয়ার অনুরোধও জানান তিনি। মিয়ানমারের ওই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ফেসবুকে সক্রিয় ছিল এই জঙ্গী গ্র“পটি। যদিও বর্তমানে অনেকটা পর্দার আড়ালে চলে যায় সশস্ত্র ওই ক্যাডাররা।

সূত্র আরও জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আল এ্যাকিনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং শক্তিশালী বোমা পৌছে দিতে গ্র“পটির পক্ষে বাংলাদেশে নিয়োজিত করা হয়েছে অন্তত ২০জন রোহিঙ্গা জঙ্গীকে। তারা বিদেশী অর্থায়নে অস্ত্র কিনে, লুট ও বোমা তৈরী করে মিয়ানমারে পাঠাতে কাজ করছে গোপনে। কক্সবাজারে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে এনে রাখা হয়েছে বোমা তৈরীর দক্ষ কারিগরকে। তবে র‌্যাবের অভিযান ও বোমা তৈরীর সরঞ্জাম সহ আটক দুই জঙ্গীকে আটকের ঘটনায় হঠাৎ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের। আল এ্যাকিনের পক্ষে গোপনে নেতৃত্বে রয়েছে রোহিঙ্গা জঙ্গী মৌলভী শফিকুর রহমান ও কথিত মাষ্টার আয়ুব। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এ দুই রোহিঙ্গা জঙ্গীকে ধরতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সরকার ইতোপূর্বে গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে দেশটির বিজিপির কাছে হস্তান্তর করে জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে (মিয়ানমার) হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এদেশে অবস্থানের খবর পেলে তাদের গ্রেফতার করে সোপর্দ করা হবে মিয়ানমারে। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা মতে র‌্যাব সদস্যরা শহরের রোমালিয়াছড়ায় মঙ্গলবার রাতে মৌলভী শফিকের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়েছে। কিন্তু দুর্দান্ত এ রোহিঙ্গা জঙ্গী র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে মিয়ানমারে হামলা চালানো কাজে ব্যবহার করতে এদেশে অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহের মত রোহিঙ্গাদের এ জঘন্য অপরাধ মূলক কাজ কখনও মেনে নেয়া যায়না বলে মত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।

জানা যায়, ৯ ডিসেম্বর রাতে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্র“ পাহাড়ের গর্ত থেকে র‌্যাব সদস্যরা যে সব অস্ত্র উদ্ধার করেছে, ওসব অস্ত্র আল এ্যাকিনের কাছে পৌছাতে সেখানে লুকিয়ে রেখেছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে এবং মংডুর বিজিপি চৌকিতে হামলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যে জড়িত, দু’দেশের দায়িত্বশীলরা অনেকটা নিশ্চিত বলে সূত্র আভাস দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাবের অভিযানে মৌলভী করিমূল্লাহ ও রমিজ আটক হওয়ার পর পরই গডফাদার মৌলভী শফিক তার পুত্র জুবাইরকে মুঠোফোনে জানিয়ে দেয়। এতে তাৎক্ষণিক তার বাসা থেকে বোমা তৈরীর কারিগরকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। পরক্ষণে র‌্যাবের দল তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি। আটক মৌলভী করিমুল্লাহ হাসেমিয়া আলীয়া মাদ্রাসার সম্মুখে টেইলার্সের দোকান খুলে বসলেও তা ছিল আইওয়াস মাত্র। সেখানে সেলাই করা হতো রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠন আল এ্যাকিনের ইউনি ফরম। প্রায় সময় ঐ দোকানে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা সংগঠনের ক্যাডাররা যাওয়া-আসা করত। আড্ডার ন্যায় রাতে চলত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক। মিয়ানমারে সেনা অভিযানে আহত রোহিঙ্গাদের এনে প্রথমে তার দোকানে এবং পরে বিভিন্ন বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রাখাইনে বিজিপি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৫০হাজারের বেশী রোহিঙ্গা। এরপর আল এ্যাকিনের জন্য অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহ এবং রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের দোহাই তুলে বিদেশ থেকে অঢেল টাকা এনে আত্মসাত করছে রোহিঙ্গা জঙ্গীরা। যদিও কতিপয় ধান্ধাবাজ জনপ্রতিনিধি আরএসও, আল এ্যাকিন ক্যাডারদের কারণে লাভবান হলেও ওসব রোহিঙ্গাদের নানা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয় সাধারণ বাসিন্দারা।

অভিজ্ঞজনরা জানান, রোহিঙ্গা জাতির সন্ত্রাসী কিছু লোকের জন্য মিয়ানমারে গোটা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটির সেনা বাহিনী ও পুলিশ। এ কারণে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বোঝা বইতে হচ্ছে এখানে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্র“প আল এ্যাকিনের পক্ষে বাংলাদেশে অর্থ যুগান, অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা রোহিঙ্গা মাষ্টার আয়ুব ও মৌলভী শফিকের অধীনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ঘাপটি মেরে আছে বহু রোহিঙ্গা জঙ্গী ও কতিপয় স্থানীয় ধান্ধাবাজ ব্যক্তি। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-মৌলভী নুর হোসেন, মৌলভী ছৈয়দ করিম, মৌলভী আজিজ, মৌলভী ইউনুছ, ব্যবসায়ী নুর কামাল, মৌলভী জিয়াউল হক, আবদুল হামিদ ও মৌলভী আবদুর রহমান। ওসব রোহিঙ্গা জঙ্গী একটি মৌলবাদী রাজনৈতিকদলের ছত্রছায়ায় থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের এদেশে পার করিয়ে আনতে আগ্রহী। কেননা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসলে তারা দু’রকমের লাভবান হয়ে থাকে। যেমন রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী দলে ভিড়িয়ে তাদের সশস্ত্র দল ভারী করা এবং রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্ব দেখিয়ে বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা এনে আত্মসাত করতে পারে তারা। রোহিঙ্গাদের নামে বিভিন্ন দেশ ও সাহায্য সংস্থা থেকে দেয়া টাকায় রোহিঙ্গা নেতাদের কেউ কেউ অঢেল সম্পদ ও বিত্তভৈববের মালিক বনে গেছে।

আল এ্যাকিন গঠন ॥ আরাকানে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার পর ২০১২ সালে বিদ্রোহী গ্র“প আরএসও’র কিছু রোহিঙ্গা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল এ্যাকিন গঠন করে। এরপর থেকে নানা ভাবে তারা গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে কলকাঠি নাড়ছে ডা: ইউনুছসহ অনেকে। সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও দেশে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি করতে বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র এক নেতার সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের ইশারায় মিয়ানমারে সশস্ত্র হামলা পরিচালিত হয়েছে এমনটি মনে করেন মিয়ানমার থেকে সদ্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হয়ে লড়তে এ সংগঠনের নেতারা বোমা ও ভারী অস্ত্র সংগ্রহে তৎপর হয়ে উঠে। এ লক্ষে মংডু বলিবাজার এলাকার মৌলভী মৃত জাফর আলমের পুত্র কক্সবাজারে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গী নেতা মৌলভী শফিকুর রহমানের একাউন্টে বিদেশ থেকে আসে ৬৭কোটি টাকা। গত কয়েক বছরে মৌলভী শফিকের (শফিক এন্ড কোং) ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কক্সবাজার শাখাসহ একাধিক ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের এ টাকা লেনদেন হয়েছে জঙ্গীপনার কাজে। মূলত ভয়ঙ্কর জঙ্গী মৌলভী শফিককে দেখলে জঙ্গীপনায় জড়িত বলে হয়ত ধারণা করবে না কেউ। জিন্সের প্যান্ট-সার্ট পরে মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায় কক্সবাজারে। তার সহযোগিদের যোগাযোগ ও দেখা সাক্ষাৎ করতে যাওয়া আসা করে বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। পরিচয় বহন করে থাকে ঢাকা উত্তরা ৪নং সেক্টরে অবস্থিত একটি এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে। ওই সংস্থার অধীনে কিছুদিন কক্সবাজারে ইসলামপুরে (*বার্মা পাড়া) একটি মসজিদে ইমামতিও করতেন। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ ও সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আল এ্যাকিনের জন্য অস্ত্র-বোমা সংগ্রহে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার র‌্যাব সদস্যরা ৭৮টি পাইপ বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ আল এ্যাকিনের সদস্য মৌলভী করিমুল্লাহ ও রমিজকে আটকের পর গা ঢাকা দিয়েছে ভয়ঙ্কর এ জঙ্গী। তাকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন হন্য হয়ে খুঁজছে। মঙ্গলবার তার বাড়িতে র‌্যাবের একটি চৌকসদল তল্লাশি চালানোর পর ছদ্মবেশে জঙ্গীপনায় জড়িত শফিকের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানায় স্থানীয়রা। এ জঙ্গীর আস্তানায় দু’টি গেট রয়েছে। র‌্যাব সদস্যদের অভিযানের আগ মূহুর্তে অপরিচিতি লোকজনকে গোপন গেট দিয়ে বের করে দিতে দেখে স্থানীয়রা ঐ গেট বন্ধ করে দেয়ার জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তাকে রোমালিয়ারছড়া চৌধুরী পাড়া থেকে বিতাড়িত করতে মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী ও সমাজ সেবক মাষ্টার বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকাবাসি এককাট্টা হয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয়রা।

মিয়ানমারে হামলার আগে ॥ গত বছরের ৯অক্টোবর রাখাইনে মংডুর বিজিপি চৌকিতে হামলে পড়ার প্রায় ৫-৬ মাস আগে রোহিঙ্গা বংশোদ্ভুত হাফেজ আতাউল্লাহ জুনুনীর (আবু আম্মর) নেতৃত্বে ১০ জন সামরিক প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোপনে প্রবেশ করে মিয়ানমারের উত্তর মংডুতে। প্রথমে অবস্থান নেয় মংডুর গওজি বিল গ্রামে। পরে সেখান থেকে নিরাপত্তা জনিত কারণে রাঙ্গাবালী চলে যান তারা। ওরা ১১জঙ্গী মিয়ানমারে প্রবেশের বিষয়ে আগে থেকে রোহিঙ্গাদের অবহিত করে রাখে আল এ্যাকিনের সশস্ত্র ক্যাডাররা। সেখানে প্রতিটি গ্রামে রোহিঙ্গাদের আত্মঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বিপ্লবের কথা প্রচার করতে থাকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে উঠতি যুবকদের সংগ্রহ করে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে অস্ত্র পরিচালনা, জঙ্গী তথা গেরিলা হামলার প্রশিক্ষণ দেয়। জঙ্গী প্রধান জুনুনী মিয়ানমারে সাধারণ রোহিঙ্গাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, আরাকানে রোহিঙ্গারা অধিকার হারা জাতি হিসেবে আর কতদিন থাকবে? তাই নিজেরা অস্ত্র হাতে নিয়ে সংগ্রামে শামিল হতে হবে। তিনি তাদের আশ্বস্থ করেন যে, তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র ও অর্থ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ধনাঢ্যশালী বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাও তার সঙ্গে রয়েছে বলে অভয় দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গা যুবকদের। : সূত্র জনকণ্ঠ

পাঠকের মতামত: