কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট কামাল হোসেন বলেছেনে, আগামী ১৫দিনের মধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিধ্বস্ত ৬০ কিলোমিটার চরম ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পুন:নির্মানে বরাদ্দ না দিলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিপুল জনগোষ্টীকে আগামী বর্ষায় ক্ষতির কবল থেকে রক্ষায় এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি বলেন, গেল বছর পুরো পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পর পর তিনবার ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছিল। মানুষের ঘরবাড়ি, ফসল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। তিন হাজার কাচা-ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেসময়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছিল সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রীসহ পাউবোর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। তারা পেকুয়াবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিল যথাসময়ে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ মেরামনে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মন্ত্রী ও পাউবোর কর্মকর্তাদের সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বাধ্য হয়েই জনগণকে আগামী বর্ষার বন্যা ও পাহাড়ী ঢলের ক্ষতির কবল থেকে রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কাছে জরুরী ভিত্তিতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামমের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবী জানাচ্ছি।
গতকাল ১৩ ফেব্রে“য়ারী সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া চৌমুহুনী ভাই ভাই মার্কেটের ২য় তলার হলরুমে সর্বস্থরের জনগন কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট কামাল হোসেন পেকুয়ার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবী জানিয়ে উপরোক্ত বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এড.কামাল হোসেন লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম। বেড়িবাঁধ পুন:মেরামতে জরুরী ভিত্তিতে বরাদ্দ না আসলে আবারো পেকুয়াবাসীকে পানির নিচে ভাসতে হবে। ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হতে হবে। গেল বারের অপূরনীয় ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পেকুয়াবাসী। তাই জরুরী ভিত্তিতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিন মেহেরনামা থেকে পশ্চিম গোয়াখালী পর্যন্ত বিধ্বস্ত পাউবোর ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পুন:মেরামতে বরাদ্দ দিতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যতায় আগামী ১৫দিনের মধ্যে যদি বেড়িবাঁধ পুন:মেরামতে বরাদ্দ দেওয়া না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল হোসেন হুশিয়ারী দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অপর লিখিত বক্তব্যে পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারান সম্পাদক বিডিআর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মগনামা-উজানটিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ পুন:মেরামতে যদি সরকার ইতিমধ্যেই ১০০কোটি বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ আমার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতে এখনো এক পয়সাও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এই বৈষষ্য কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয় পেকুয়া সদর ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ নির্মানে অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় আজ পেকুয়ার বিপুল পরিমান জনগোষ্টী চরম বিক্ষুদ্ধ ও হতাশায় ভূগছেন উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সংবাদপত্রের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ পুন:মেরামতের জন্য আবারো প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দাবী করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারান সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবক বিডিআর জাহাঙ্গীর আলম, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য গোলাম সোবহান, জাতীয় শ্রমিক লীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আবচার, জাতীয় পার্টির নেতা মনজুর আলম, শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল জব্বার প্রমূখ। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পেকুয়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: