ঢাকা,সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

আইসিটি ফর ই জেলা অ্যাম্বাসেডর রামুর শিক্ষক মর্জিয়া বেগম

সোয়েব সাঈদ ::
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর এডুকেশন ( ICT4E) এর কক্সবাজার জেলা অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হয়েছেন রামুর শিক্ষক, কবি মর্জিয়া বেগম। তিনি কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে একসেস টু ইনফরমেশন ( a2i) শিক্ষক বাতায়ন কর্তৃপক্ষ ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে জেলা অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত করেন। যা শিক্ষক বাতায়নে প্রকাশ করা হয়েছে ।

উল্লেখ্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করতে আইসিটি ফর ই যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। দেশ- বিদেশে মাইলফলক হিসেবে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছেন a2i দ্বারা পরিচালিত তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ।

মর্জিয়া বেগমের জন্ম পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সমুদ্রপাড়ের মেরিনড্রাইভ সড়কের সবুজ, মনোরম, পাহাড়ী ঝর্ণাবেষ্টিত,সমুদ্রের নীলজলরাশি ঘেরা হিমছড়ি গ্রামে। তাঁর (মর্জিয়া) ভাই মোবারক হোসেন রামু সরকারি কলেজের ফিজিক্সের প্রভাষক। তিনিও ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর।

অদম্য মেধাবী মর্জিয়া বেগম হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি শিক্ষা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন ডিগ্রি লাভ করেন। তাছাড়াও চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে পেশাগত শিক্ষায় বি.এড ডিগ্রি লাভ করেন।
মর্জিয়া বেগম উপন্যাসিক এবং কবি। পাঠক তার লেখার আকর্ষনীয় ক্ষমতায় ডুবেছেন প্রতিবার। কখনও প্রেম,কখনও বিরহ কিংবা রুঢ় বাস্তবতা তুলে এনেছেন তার প্রতিটি লেখায়। এবার তার পদচারনা নতুনভাবে। তিনি ২০২১ বইমেলায় প্রকাশিত “এইতো বেঁচে আছি” কাব্যগ্রন্থের লেখক। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “জীবন নদী” একুশে বই মেলা-২০২০ এ প্রকাশিত হয়। তার প্রথম উপন্যাস “হলুদ খামে নীল জোসনা” প্রকাশের অপেক্ষায়।
তিনি বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, কাব্যসংকলনে নিয়মিত লেখালেখি করে আসছেন।
কক্সবাজার জেলায় শিক্ষার দ্যোতি ছাড়িয়ে দেশ- বিদেশের খ্যাতি অর্জন করবেন মর্জিয়া বেগম, এমন প্রত্যাশা সকলের।

পাঠকের মতামত: