ঢাকা,বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

অবিলম্বে শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচী -কক্সবাজারে বিএফইউজে

bfuj picপ্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ কোন স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুর কাছে মাথানত করেনি। বর্তমান ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর গণমাধ্যম দলন, সাংবাদিক নির্যাতনের মুখেও সাংবাদিকরা শির উঁচু করে সত্য প্রকাশ করে যাবে ইনশাল্লাহ। দুর্নীতি-দু;শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সাংবাদিক ইউনিয়ন তাদের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বিরামহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। নন্দিত সাংবাদিক নেতা ও বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ, আমার দেশের মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ আটক সাংবাদিকদের ১৫ দিনের মধ্যে মুক্তি ও বন্ধ গণমাধ্যম খুলে না দিলে সারা দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বিএফইউজে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে সৈকত নগরী কক্সবাজাারে এক সাংবাদিক সমাাবেশে বক্তৃতাকালে সাংবাদিক নেতারা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কক্সবাজারের হোটেল মিশন বে-টাচের হলরুমে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজেষ্ফর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন হারুন, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সহসভাপতি মুনশী আবদুল মান্নান ও রেজাউল করীম রাজু, বিদায়ী সহসভাপতি নুরুল আমিন রোকন, সহকারি মহাসচিব মোদাব্বের হোসেন, মোহাম্মদ শাহনওয়াজ ও নূর ইসলাম, কক্সবাজারের দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

শামসুদ্দিন হারুন বলেন, গোটা গণমাধ্যম জুড়ে এখন ভয়-ভীতি ও ত্রাসের সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকতা এখন নির্বাসিত। জাতীয় প্রেসক্লাবকে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। তিনি বলেন, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন ও গণমাধ্যমের স্বাধিনতা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, বিনা অপরাধে বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদকে পাঁচ মাসের বেশী সময় ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। জেলে থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পুন:নির্বাচিত হয়ে প্রমান করেছেন তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও নন্দিত সাংবাদিক নেতা। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে প্রায় তিন বছর ধরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বহু সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বকেকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। সরকার নতুন করে একের পর গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার নানা ফন্দি করছে।

অনুষ্ঠানে নব নির্বাচতি নেতাদের ফুল দিয়ে বরন এবং বিদায়ী নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের দফতর সম্পাদক আবু ইউসূফ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ আহমদ মহিউর রহমান, নির্বাহী সদস্য এহতেশামুল হক শাওন, জাহিদুল করীম কচি, সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার, শাফিউল আলম দোলন ও হায়দার আলী, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সরদার আবদুর রহমান, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি আনিসুজ্জমান, ভারপ্রাপ্ত সাধাণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ, সহসভাপতি জিএম আশেক উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাসিম, সাংবাদিক নেতা মমতাজ উদ্দিন বাহারী, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম মুকুল, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সভাপতি জিএম মইনুদ্দিন হিরু, সাধারণ সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম রিপন, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ । পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এদিকে বিএফইউজেষ্ফর নতুন কমিটির প্রথম সভা একই দিন রাতে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন মহাসচিব এম আবদুল্লাহ। সভায় নির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তা ছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)সহ বিভিন্ন অঙ্গ ইউনিয়নের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার, ন্যায়সংগত দাবী আদায়ে আন্দোলনের কর্মসূচীসহ ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পাঠকের মতামত: