ডুলাহাজারায় অনৈতিক কাজে আটক ব্যাংক ম্যানেজার দফারফায় মুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এক শ্রমিকের কাজে শহরে থাকার সুবাদে তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। জনৈক ওই মহিলার বেপরোয়া তীব্রতায় অতিষ্ঠ ওই এলাকার লোকজন সহ স্বজনরা। এ ব্যাপারে বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা। সর্বশেষ গত ৮মার্চ রাত দেড় টায় অনৈতিক অবস্থায় মহিলার বাড়ি থেকে হাতেনাতে আটক করেন হারুরনর রশীদ (৫৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে। হারুন বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যংক মহেশখালীর একটি শাখায় ম্যানাজারী পদে কর্মরত রয়েছে।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন সা.সম্পাদক মাসরুর হাসান রঈস বলেন গতবছর পর্যন্ত ব্যংক কর্মকর্তা হারুন ডুলাহাজারা কৃষি ব্যংকে ম্যানেজারী পদে কর্তব্যরত ছিলেন। এসময় মাসিক ম্যাচ হিসেবে দুবেলা ভাত ওই মহিলার বাড়ি থেকে নিকটস্থ ব্যংক অফিসে পাঠিয়ে দিতো। সে সুবাদে মহিলাটির সাথে সম্পর্ক গভীর হয় এবং এক পর্যায়ে অনৈতিক ভালবাসায় রূপ নেয়। এলাকাবাসী তা আঁচ করতে পেরে বাধা দিলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালীর সহযোগীতায় স্থানীয়দের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অব্যাহত ছিল তার অনৈতিক কর্ম। বছর খানেক পূর্বে কৃষি ব্যংক ম্যানেজার হারুনর রশীদ ডুলাহাজারা শাখা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে মহেশখালীতে যায়। ওখানে গিয়েও অবৈধ প্রেমের অমৃত স্বাদ আশ্বাধনের লক্ষ্যে গোপনে নতুন পাড়াস্থ ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে আসতো।
৮ মার্চ ঘটনার দিন মঙ্গলবার গভীর রাতে মহিলার বাড়ি থেকে আটক করেন ব্যাংক কর্মকর্তাকে। তাৎক্ষণিক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও স্থানীয় সদস্য মোঃ সোলাইমানকে অবগত করা হলে তারা জরুরী কাজে কক্সবাজারা শহরে ছিলেন বলে জানায়। এসময় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন সোনা মিয়াকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। সদস্য সোনা মিয়া উভয়ের বক্তব্য নিয়ে ভবিষ্যতে একাজ আর করবে না বলে মুছলেখা নেয় কর্মকর্তার কাছ থেকে। ইউপি সদস্য সোনামিয়া পরে কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে অপরাধীর কোন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা না হওয়ায় উদ্ধীগ্ন রয়েছে এলাকাবাসী।
তারা জানান এভাবে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত অন্যায় করে সাধু হিসেবে পার পেয়ে যাবেন তা কিছুতেই কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা সমালোচনা তুলপাড় চলছে।
এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন এসময় আমি ছিলাম না। ঘটনার কথা শুনে তাৎক্ষণিক ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদীন সোনামিয়াকে পাঠাই। সে পর্যলোচনা করে ঘটনাটি মিথ্যে বলে জানায় আমাকে। তাছাড়া কোন অভিযোগ না থাকায় এব্যপারে কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি।
পাঠকের মতামত: